ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডেন্ট কাজী মোঃ শফিকুর রহমান এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন আমরা সকলেই অবহিত ও এটা অনস্বীকার্য যে দেশের ব্যাংকিং ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখার ক্ষেত্রে ব্যাংক তথা ব্যাংক কর্মকর্তা/ কর্মচারীগণের সেবামূলক ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এদিক চিন্তা করেই সরকার তথা বাংলাদেশ ব্যাংক এর অনুমোদনক্রমে দেশে বর্তমানে সরকারি/ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোট ৬১ টি তফসীলি ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রথম ও দ্বিতীয় প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তা/ কর্মচারীগণের পদবী বিন্যাস ও বেতন কাঠামো অনুরূপ ছিল। ফলে সে সময় এ বিষয়ে কোন সমস্যা দেখা দেয়নি। পরবর্তিতে নতুন ব্যাংকগুলো কর্মকর্তা/ কর্মচারীগণের পদবী বিন্যাস ও বেতন কাঠামোতে পরিবর্তন আনে। ফলে সকল ব্যাংকের পদবী বিন্যাস ও বেতন কাঠামোতে তারতম্য দেখা দেয়। এতে করে বিভিন্ন ব্যাংক এর কর্মকর্তা/ কর্মচারীগণের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। উল্লেখ করা যায় যে সাধারণভাবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রথম ও দ্বিতীয় প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক সমূহের কর্মকর্তাগণের পদবী বিন্যাস ছিলো নিম্নরূপ: অফিসার, সিনিয়র অফিসার, প্রিন্সিপাল অফিসার, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার, এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও।
কোভিড -১৯ এর প্রাদুর্ভাব এর ফলে ব্যাংক সমূহের কার্যক্রম ও মুনাফা নিয়ে আশংকার সৃষ্টি হয়। ফলে কোন কোন ব্যাংক - কর্মকর্তা/ কর্মচারীগণের বেতন কমানো এমনকি তাদের চাকুরিচ্যুত করার সিন্ধান্ত নেয়।ফলে ব্যাংক কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের মধ্যে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বাংলাদেশ ব্যাংক কোভিড -১৯ এর প্রভাব বিবেচনায় ব্যাংক এর মক্কেল বিশেষে প্রনোদনা এবং কোভিড -১৯ এ আক্রান্ত ব্যাংক কর্মকর্তা/ কর্মচারীগণের জন্য চিকিৎসা সুবিধা ও ক্যাশ প্রনোদনা দেয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে সার্কুলার এর মাধ্যমে নির্দেশনা দেয়।
উল্লেখ করা যায় যে, সকল ব্যাংক কোভিড -১৯ আক্রান্ত বা মৃত কর্মকর্তা/ কর্মচারীগণকে নির্ধারিত ক্যাশ প্রনোদনা বা মৃত কর্মকর্তা/ কর্মচারীগণের পরিবারকে যথাযথভাবে ক্যাশ প্রনোদনা প্রদান করেনি। আরও উল্লেখ্য যে, কোভিড -১৯ এর প্রভাবে মক্কেলগণের ব্যবসায়িক মন্দা বিবেচনায় তাদেরকে বিশেষ প্রনোদনা সুবিধা দেওয়ার জন্য এবং ক্ষেত্রবিশেষে ব্যাংক এর প্রদত্ত ঋণ পূন: তফসিলীকরণ ও শ্রেণীকরণ নীতিমালা শিথিল করে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সার্কুলার ইস্যু করা হয়।
উপরোক্ত পদক্ষেপসমূহ এবং ব্যাংক কর্মকর্তা/ কর্মচারীগণের স্বার্থ সংরক্ষণে তথা ব্যাংকিং সেক্টরের সার্বিক কল্যাণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বিআরপিডি সার্কুলার নং ২১ তারিখ ১৬/০৯/২০২১ এবং বিআরপিডি সার্কুলার নং ০২ তারিখ ২০/০১/২০২২ ইস্যু করার জন্য আমরা ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (বিডব্লিউএবি) এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে সাধুবাদ জানাই। আমরা সেই সাথে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) কেও বিষয়টি বাস্তবের নিরিখে বিবেচনার জন্য অনুরোধ করছি। উপরোক্ত উভয় বিআরপিডি সার্কুলার ২১ তারিখ ১৬/০৯/২০২১ এবং ০২ তারিখ ২০/০১/২০২২ এর ব্যাপারে আলোচনা সাপেক্ষে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ও বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।